সবাই শুধু কোরবানী ঈদ তাই গরু ছাগল কাঁটাকাঁটি, রক্তারক্তি, ধর্ম কর্ম নিয়েই মেতে আছে।কোরবানী ঈদ মানে অবশ্যই ত্যাগ। তাই বলে কি সাজুগুজু মেহমান আত্নীয় স্বজন এসব বন্ধ থাকবে?মোটেইনা।
আমার কাছে শুধুই রোজার ঈদেই সাজুগুজু, খাওয়াদাওয়া , আনন্দ আর কোরবানী ঈদ মানেই শুধুই ত্যাগ, এমন কোনো কথা নেই।তাই আমি বাড়ীর অন্যরা যখন গরু ছাগল নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সে ফাকে সাজুগুজু টা সেরে ফেল্লাম।
তাই বলে এমনটা না যে সাত সকালে উঠেই সাজুগুজু শুরু করে দিলাম। সকালের নাস্তা টা আমি ই বানিয়েছিলাম। মোগলাই পরোটা, সালাদ আর ফিরনী।এ তিনরকম খাবার আমি নিজ হাতে বানিয়েছি।
তারপর গোসল সেরে বসলাম সাজুগুজু করতে। শাড়ী আমার সবচেয়ে প্রিয় পোশাক।আমার কাছে সাজুগুজু মানেই শাড়ী।
রাজকোট শাড়ী পরেছিলাম, হাতে চুড়ী, কপালে টিপ আর চুলে খোপা( আলগা খোপা অবশ্য)
বিকালে গিয়েছিলাম নানুবাসায় ।প্রতি ঈদে আমরা আত্নী্য স্বজনরা যে যেখানে থাকি সবাই নানুবাসায় একসাথেই রাতের খাবার টা খাই।এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। একটা কথা, প্রতি ঈদে যখন সব কাজিনরা, মামামামী, খালা খালুরা একসাথে হই। তখন যেন হইচই হাসি আড্ডা গানে ফিরে যাই সেই শৈশবের ঈদের দিন গুলোতেই।
এই ঈদের ছবি নিয়ে তারিক মাহমুদভাইয়া কি যেন কমেন্ট করেছিলো তাই তার উপর রাগ করে ছবি এবং পোস্ট মুছে দিয়েছিলাম আজ আবার নিজের ঈদ সংকলের সুবিধার্থে সেই পোস্ট নিয়ে আসলাম হা হা !
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬